যেসব কৃষিপণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করা হয়, সেগুলোকে অর্থকরী ফসল বলে।
পাট হলো আমাদের প্রধান অর্থকরী ফসল। বিশ্বে ভারতের পরে বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি পাট উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশের ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, কুমিল্লা, পাবনা, কুষ্টিয়া, যশোর ও নওগাঁ জেলায় বেশি পাট উৎপন্ন হয়। পাটকে 'সোনালী আঁশ বলা হয়।
পাট দিয়ে রশি ও চটের থলে বা বস্তা তৈরি হয়। পাট রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। আমাদের জলবায়ু পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে চা বেশি উৎপন্ন হয়। তবে বর্তমানে দিনাজপুর ও পঞ্চগড় জেলাতেও চা চাষ হচ্ছে।
বাংলাদেশের চায়ের বিশেষ সুনাম থাকার বিদেশে এর চাহিদা রয়েছে। চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।
বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে তামাক চাষ হয়। তবে রংপুর জেলায় ভাষাকের চাষ বেশি হয়। সিগারেট ও বিড়ি তৈরিতে তামাক ব্যবহার করা হয়। বাংলাদেশে উৎপন্ন তামাকের বেশির ভাগ রপ্তানি করা হয়। তামাক মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তাই তামাক চাষকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অন্যান্য অর্থকরী ফসলের মধ্যে তুলা, ব্রেশম, সুপারি ও রাবার উল্লেখযোগ্য।
মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনে অর্থকরী ফসनজাত বিভিন্ন পণ্য কীভাবে ব্যবহার করে ভা শিক্ষকের সহায়তায় আলোচনা কর:
• পাট
• চা
পাশের পৃষ্ঠা থেকে তথ্য নিয়ে নিচের ছকটি পুরণ কর।
পাট | চা | |
---|---|---|
কী কাজে ব্যবহার হয় | ||
কোথায় উৎপন্ন হয় |
মাছ আমাদের দেশের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি পণ্য। এদেশের মোট কৃষিজ আরের প্রায় ২৩% আর হয় যাছ থেকে। এদেশের রপ্তানিকৃত মাছের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো হিমায়িত চিংড়ি এবং হিমায়িত অন্যান্য মাছ।
বাংলাদেশে কোথায় কোথায় মাছ চাষ হয়?
বাক্যটি সম্পূর্ণ কর :
আমরা কৃষিপণ্য রপ্তানি করি কারণ…………………………………………………………………………………………………….।
আরও দেখুন...